
পবিত্র কোরআনে মধুর ঔষধি গুণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার রব মৌমাছির প্রতি ইলহাম করেছেন যে পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করো। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার করো এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চলো। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে ওই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)।

মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য-উপাদান রয়েছে। প্রকৃতির বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর হওয়ায় এটি দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত চিকিৎসা অনুশীলনের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মধুতে রয়েছে গ্লোকোজ যা শরীরে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি ক্লান্তি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। শ্বাসকষ্ট নিরাময়, রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে এর জুড়ি নেই।

মধু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে শীতে ঠান্ডা, ফ্লু, কাশি এবং গলাব্যথার সমস্যা দেখা দিলে তার চিকিৎসায় দারুণভাবে কার্যকরী মধু।

মধু ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অনিদ্রা, হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা রোধ করে। মধু দেহের ফ্যাট কমায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হালকা গরম পানিতে থাকা মধু উজ্জ্বল, পুষ্ট ত্বককে উন্নীত করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে যা শুষ্ক ত্বককে সাহায্য করে।

মধু সঠিক পরিমাণে গ্রহণে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক মধুর ব্যবহার রক্তে পলিফোনিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের খলিশা ফুলের মধু

সারাদেশে ডেলিভারি দেয়া হয়।

সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু দেখতে এবং এর ঘনত্ব অন্যান্য মধুর চেয়ে পাতলা ধরনের হয়।

মধু খেতে খুবই সুস্বাদু, এর স্বাদ হালকা টক মিষ্টি ধরনের হয়।

খলিশা ফুলের মধুতে কোনোরকম বাজে গন্ধ থাকবে না।

এই মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলে, বোতল ঝাঁকালে এতে প্রচুর পরিমাণে ফেনা তৈরি হবে।

খাঁটি সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু জমে যাবে না।

অনেকের কাছে এই সুন্দরবনের মধুর স্বাদ অনেকটা আখের রসের মতন মনে হয়।

সুন্দরবনে যতগুলো গাছ আছে তাদের মধ্যে খলিশা, কেওড়া, গড়ান গাছ, বাইন গাছে বেশি ফুল ধরে। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে দামী হলো প্রাকৃতিক খলিশা ফুলের মধু।এর দাম অন্যান্য ফুলের মধুর চেয়ে বেশি এবং এটি সারা বছর পাওয়া যায় না। মধুর ঘ্রাণ, স্বাদ এবং কোয়ালিটির কারণে একে “গোল্ড মধু”ও বলা হয়। এক কথায়, সুন্দরবনের আশীর্বাদ এই খলিশা ফুলের মধু।
Facebook page:
Reviews
There are no reviews yet.